Wednesday, December 25, 2019

Baikka Bill srimangal, Information about sreemongol

বাইক্কা-বিল-শ্রীমঙ্গল ( Information about sreemongol )

Information about sreemongol : পদ্মফুল আর পাখির রাজ্য বাইক্কাবিল
 বাইক্কা বিল মৌলভীবাজার জেলার চায়ের স্বর্গরাজ্য শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওড়ের পূর্বদিকের প্রায় ১০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলাভূমির নাম। শ্রীমঙ্গল থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এবং হাইল হাওরের পূর্ব পাশেই প্রায় ১০০ হেক্টর জলাভূমি নিয়ে অপরূপ সৌন্দর্যের এই বাইক্কা বিল। বাইক্কা বিলের মূল আকর্ষণ পরিযায়ী আর স্থানীয় পাখি। বিলের শুরুতেই দেখা যাবে দলে দলে পার্পল সোয়াম্প হেন বা কালেম। পাশেই হয়তো দেখবেন গ্রেট কর্মোরান্ট বা ছোট পানকৌড়ি, লিটল কর্মোরান্ট বা বড় পানকৌড়ির দল। শুধু পাখিই নয়, হাওরে মাছের রাজ্যেও রয়েছে অসংখ্য প্রজাতির মাছ। আইড়, মেনি, কই, ফলি, পাবদা, বোয়াল, রুই, গজারসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছেরও অভয়াশ্রম। এ ছাড়া এই বিলের দাপুটে পাখিরা হলো শঙ্খচিল, ভুবন চিল, পালাসী কুড়া ঈগল, গুটি ঈগল ইত্যাদি। শীতের এ সময়ে আরও দেখা মিলবে বিলের অতিথি পাখি সরালি, মরচেরং ভূতি হাঁস, গিরিয়া হাঁস আর ল্যাঞ্জা হাঁসের ভেসে চলা।

বিলের মধ্যে অপেক্ষাকৃত দূরত্বে দেখা মিলবে মেটেমাথা টিটি, কালাপাখা ঠেঙ্গী গেওয়ালা বাটান ইত্যাদি। শীত এখনো জমে ওঠেনি। তবে জমে উঠতে শুরু করেছে পাখির মেলা। বিলের জলে পরিযায়ী পাখি মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। ভ্রমণপিপাসুদের বিলের পাখি উপভোগের জন্য দুটি পর্যবেক্ষণ বুরুজ আছে। বাইক্কা বিলে প্রায় ৯৮ প্রজাতির মাছ ও ১৬০ প্রজাতির পাখির আগমন ঘটে। শীতে বাইক্কা বিলের মূল আকর্ষণ নানান ধরনের পাখি। শীত শেষে পরিযায়ি পাখিরা বেশির ভাগ চলে গেলেও স্থানীয় পাখিরা এখনও প্রচুর আছে বাইক্কা বিলে। তবে শীত শেষে বসন্তের শেষে এই বিলের এখন পাখি কিছুটা কমে গেলেও বিলজুড়ে ফুটে আছে পদ্ম ফুল। প্রথম ওয়াচ টাওয়ারের আশপাশেই বেশি পদ্ম আছে। পুরোপুরি ফোটে সকালে। এছাড়া পদ্ম ফুলের সঙ্গে পুরো বিল জুড়ে আছে সাদা শাপলাও। নৌকায় ঘুরে উপভোগ করতে পারবেন বাইক্কা বিলের এসব সৌন্দর্য।

আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন


Information about sreemongol, srimangal

Information about sreemongol, srimangal

শ্রীমঙ্গল চায়ের রাজধানী খ্যাত এই অঞ্চল বাংলাদেশের উত্তর-পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত একটি উপজেলা যা সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তের অন্তর্গত হাইল-হাওরের পাশে ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান করছে।
এর ১৮৪.২৯ বর্গকিলোমিটার (৭১.১৫ বর্গমাইল) অঞ্চল অর্থাৎ ৪৩.৩৪% ই চা-বাগান অধ্যুষিত অঞ্চল। পাহাড়, রেইন ফরেস্ট, হাওর আর সবুজ চা বাগান রয়েছে এ অঞ্চলে। এজন্য এ স্থানে প্রতিদিনই দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম থাকে। আর এ কারণে শ্রীমঙ্গলে গড়ে ওঠেছে পাঁচ তারকা হোটেল অনেক আবাসিক হোটেল ও রেস্তোরা। শ্রীমঙ্গলের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে চা বাগান। দেশের ১৬৩টি চা বাগানের মধ্যে এ উপজেলায় ৪০ টি চা বাগান।
নামকরণের ইতিহাস :
প্রাচীন শ্রীমঙ্গল শহরের নামকরণ সম্পর্কে বিভিন্ন মত ও জনশ্রুতি শোনা যায়। তবে সবথেকে নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে-
প্রথমত :বাবু প্রকৃত রঞ্জন দত্ত (এডভোকেট হাই কোর্ট ডিভিশন সিলেট) বিরচিত ‘সাতগাঁও এর ইতিহাস’ নিবন্ধনে বিভিন্ন লেখকের মত ও নির্ভরযোগ্য সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে বর্ণনা করেছেন যে, সাতগাঁও এর পাহাড়ে অধিষ্ঠিত শ্রীমঙ্গল চন্ডি মন্দিরকে কেন্দ্র করে এককালে মঙ্গল চন্ডির হাটের প্রতিষ্ঠা হয়। সেই মঙ্গল চন্ডির হাটই পরবর্তী কালে শ্রীমঙ্গল বাজারে রূপান্তরিত হওয়ার পর এ অঞ্চলে অধিক লোক সমাগম ঘটে এবং লোকমুখে শ্রীমঙ্গল বাজার হিসেবে এ অঞ্চল পরিচিতি লাভ করে। এখানে উল্লেখ যোগ্য যে, শ্রীমঙ্গল চন্ডির মন্দিরের বিলুপ্ত প্রায় ধ্বংসাবশেষ রয়েছে বর্তমান শ্রীমঙ্গল পৌরসভা হতে কয়েক ক্রোশ উত্তর পশ্চিমে।
দ্বিতীয়ত: ‘শ্রীদাস’ ও ‘মঙ্গলদাস’ নামে প্রতাপশালী বিত্তবান দুই ভাই প্রথমে এসে এখানে হাইল-হাওরের তীরে বিশাল এলাকাজুড়ে বসতি স্থাপন করেছিলেন। পরবর্তীতে শ্রীদাস, মঙ্গলদাসের এলাকা হিসেবে পরিচিতি লাভ করে এবং এক সময় এ দু’ভাইয়ের নামানুসারে শ্রীমঙ্গল নামকরণ করা হয় এ এলাকার।
অবস্থান ও আয়তন :
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২শত কি.মি. দূরত্বে ভারতের সীমান্তের কাছাকাছি দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার সদর উপজেলা থেকে ২০ কিলোমিটার দক্ষিণে হাইল-হাওরের পাশে ৯টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা, ২০৫ টি গ্রামসহ ৪২৫.১৫ বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবস্থান করছে শ্রীমঙ্গল উপজেলা। উপজেলাটির উত্তরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলা তারও উত্তরে রয়েছে ভারতের মেঘালয় রাজ্য (খাসিয়া ও জয়ন্তীয়া পাহাড়), দক্ষিণে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে কমলগঞ্জ উপজেলা এবং পশ্চিমে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও বাহুবল উপজেলা অবস্থিত। এ অঞ্চলে অত্যাধিক বৃষ্টিপাতের পরেও বন্যা না হওয়ার কারন এখানে যেসকল ছোটছোট উপনদী (বিলাস নদী, গোপলা নদী) রয়েছে তা বন্যায় ভাসানোর জন্য যথেষ্ট নয় আর কাছাকাছি অবস্থিত (২০ কিলোমিটার দূরে মৌলভীবাজার সদর উপজেলায়) বড় নদী মনু থেকে শ্রীমঙ্গলে আসার পথে অনেক নিচুভূমি, শ্রীমঙ্গল শহরের গড় উচ্চতা আশেপাশে অবস্থিত অন্যান্য অঞ্চল (মৌলভীবাজার সদর,রাজনগর উপজেলা) থেকে বেশি এবং কমলগঞ্জেযাওয়ার পথে বিস্তীর্ণ অঞ্চলজুড়ে শ্রীমঙ্গল পাহাড় দিয়ে বেষ্টিত হওয়ায় অন্যান্য বড় নদীর পানি পাহাড় টপকে এ অঞ্চলে আসতে পারে না।
চা শিল্পের ইতিহাস :
বাংলাদেশের বর্তমান ভৌগোলিক সীমানায় চায়ের বাণিজ্যিক চাষাবাদ শুরু হয় আজ থেকে ১৫০ বছর আগে। ১৮৫৪ সালে সিলেট শহরের মালনিছড়ায় বাংলাদেশের প্রথম চা-বাগান প্রতিষ্ঠিত হয় । তারপর শ্রীমঙ্গলের বিস্তির্ণ এলাকাজুড়ে চা বাগান....
আরো জানতে এখানে ক্লিক করুন